টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে এসেছেন কয়েক লাখ পর্যটক। শুক্রবার লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টের তিন কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত এলাকা রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পর্যটকদের এ ঢল আগামী সোমবার পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও কার্নিভাল আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। মেলা উপলক্ষ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ এবং রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাড়ের কথা বলে পর্যটক টেনে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে তিন থেকে পাঁচগুণ পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ করছেন পর্যটকরা। যা প্রতারণা হিসেবে দেখছেন তারা। তাদের অভিযোগ, কোথাও ছাড় দিচ্ছে না। ছাড়ের কথা বললে রুম ভাড়া দিতেই রাজি হচ্ছে না। একই অবস্থা খাবার হোটেলেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজারে তারকা মানের হোটেল ছাড়া অন্য কোনো হোটেল, কটেজ বা রিসোর্টগুলোতে রুম ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। এসব হোটেলেই কয়েকগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছে। ঢাকার মালিবাগ থেকে সপরিবারে কক্সবাজারে আসা আবদুল আলিম খান অভিযোগ করেন, ওয়ার্ল্ড বিচে একটি অ্যাপার্টমেন্ট দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া হয়ে থাকে। কিন্তু ছাড়ের বদলে উলটো কয়েকগুণ বাড়িয়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একইভাবে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে, বিচ ভিউ, স্টার ইকো, সমুদ্রবিলাস, কক্সওয়েবসহ আরও অনেক হোটেলের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টগুলো ইচ্ছেমতো দাম রাখছে বলে অভিযোগ করছেন পর্যটকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, যখনই পর্যটকের ঢল নামে হোটেল মালিকরা ইচ্ছেমতো রুমের ভাড়া নিয়ে থাকেন। এবারও সেটা হচ্ছে। ছাড়ের কথা বললেও ভাড়ার তালিকা না থাকার কারণে সেটা কার্যকর করা কঠিন বলে জানান তারা। হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার যুগান্তরকে বলেন, ছাড়ের বদলে রুম ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম বের হয়েছে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, যেসব হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাব আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।